“মহাজগতের ইতিহাসে তোমার মত আর কেউ ছিলনা, আর আগামী অসীম সময়ে তোমার মত আর কেউ হবে না। তুমি বিরল৷ তুমি মৌলিক। তুমি অনুপম। তোমার সেই অনুপম সত্তাকে নিয়ে উৎসব পালন কর।”
– শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর
তোমার মনোরম উপস্থিতিকে আবিষ্কার কর
খেয়াল করেছ একটি শিশু কোনো একটি ঘরে প্রবেশ করলে সেই ঘরে উপস্থিত সবাই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ওঠে!তার জন্যে শিশুটিকে কোনো উদ্যোগ নিতে হয় না। সব কিছু সহজ ভাবেই ঘটে যায়। আমরা আমাদের বাক্য থেকে বেশি সংযোগ তৈরি করি আমাদের উপস্থিতির মাধ্যমে। কিন্তু আমরা যত বেশি বড় হতে থাকি, যে কোনো কারণেই হোক আমাদের এই সুপ্ত সত্তাকে লালন করতে ভুলে যাই। আমাদের জীবনের অসংখ্য অতীত অভিজ্ঞতার ছাপ আমাদের উপস্থিতিকে দুর্বল করে তোলে আর মনকে বদ্ধ করে রাখে।
কিভাবে আমরা সেই শিশুসুলভ সতেজতা, বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব আর সহজ স্বাভাবিক মানসিকতা ও আচরণ ফিরে পেতে পারি? এটা সম্ভব সহজ অথচ শক্তিশালী সুদর্শন ক্রিয়ার শ্বাসের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। আমাদের অস্তিত্বের বিভিন্ন স্তরকে এই প্রক্রিয়া পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে, শরীর থেকে শুরু করে সূক্ষ্ম আত্মার স্তরকে এই প্রক্রিয়া পরিশুদ্ধ করে মানসিক চাপ আর অতীতের অভিজ্ঞতার পীড়ন মুক্ত করে আমাদের আকর্ষণ ক্ষমতা ও মধুর ব্যক্তিত্বকে ফিরিয়ে আনে, উপস্থিতির গুরুত্বকে উদ্ধার করে।
কত তাড়াতাড়ি সাফল্য অর্জন করতে চান?
সবাই চায় জীবনে সফল হতে৷ কিন্তু খুব বড় অঙ্কের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স আর বিলাসবহুল জীবন কাটানোকেই কি সাফল্য বলে? কারো হয়তো ব্যাঙ্কে অনেক টাকা রয়েছে, কিন্তু সে প্রায়ই অসুস্থ থাকে, তাই তার যা রয়েছে তা ভোগ করতে পারেনা। অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ সম্পদশালী হবার তাড়নায় অর্দ্ধেক স্বাস্থ্য খুইয়ে বসে আর সেই হারানো স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্যে বাকী অর্দ্ধেক সম্পদ ব্যয় করে ফেলে। একে কি সত্যিকার অর্থে সাফল্য বলে?
Iকল্পনা কর এমন একটি অবস্থার – যেখানে তোমার সমস্যাগুলো আর সমস্যা মনে হবে না, তুমি সাগ্রহে হাসিমুখে সেগুলোর মুখোমুখি হবার শক্তি লাভ করবে, আর মনে করবে সেই পরিস্থিতি তোমার ক্ষমতাকে প্রমাণ করার একটি সুযোগ মাত্র! তোমার কি মনেহয়না এটাই সফল ব্যক্তিত্বের লক্ষণ? আর্ট অফ লিভিংয়ের শেখানো কলাকৌশল তোমাকে এভাবে তৈরি করতে পারে।
যত তাড়াতাড়ি যোগ, প্রাণায়াম, ধ্যান অভ্যাসের মাধ্যমে তুমি নিজেকে আবিষ্কার করতে পারবে, তত তাড়াতাড়ি তুমি সাফল্যকে জীবনে সব দিক দিয়ে দ্রুত অর্জন করতে পারবে।
অন্তর থেকে এক অবিচলিত ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলুন
আধ্যাত্মিক জ্ঞানের আর নিজে নিজে জানবার জন্য প্রয়োজনীয় বই সর্বত্র সহজেই পাওয়া যায় – কিন্তু বই যা দিতে পারেনা তা হচ্ছে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক শক্তি, তার সহৃদয় উপস্থিতি, বন্ধুত্ব আর ভালোবাসাময় উষ্ণ পরিমন্ডল, যা একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তি তার সঙ্গে বহন করেন। প্রাচীন কালের প্রাণায়াম আর ধ্যানের অভ্যাস যা আর্ট অফ লিভিংয়ের কর্মশালায় শেখানো হয় তা আত্মাকে উচ্চস্তরে উন্নীত করে, ষষ্ঠেন্দ্রিয়কে জাগ্রত করে, উৎসাহ, সৃষ্টিশীলতা ও বুদ্ধিকে বাড়ায় ও ব্যক্তিত্বকে ঋজু ও আকর্ষণীয় করে তোলে৷ প্রতিদিন এইসব আধ্যাত্মিক ক্রিয়ার অভ্যাস করলে আপনার মুখের হাসি আর কেউ কেড়ে নিতে পারবেনা৷ জীবনে যা কিছু আপনি চান তা পাবার যোগ্যতা আপনার আছে, এই আত্মবিশ্বাস আপনার মধ্যে জাগ্রত হবে৷ অন্যরা আপনাকে দেখে প্রভাবিত হবে, উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠবে৷